Wednesday, 7 May 2008

অবাক ভালোবাস ----- ওয়ারফেইজ


সব আলো নিভে যাক আঁধারে
শুধু জেগে থাক ঐ দুরের তারারা
সব শব্দ থেমে যাক নিস্তব্ধতায়
শুধু জেগে থাক এই সাগর
আমার পাশে

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে
হৃদয় গভীরে অবাক দৃষ্টিতে
থমকে দাড়িয়েছে মহাকাল এখানে

শুভ্র বালুর সৈকতে
এলোমেলো বাতাসে গিটার হাতে
নিস্তব্ধতা চৌচির
উন্মাদ ঝংকারে কাঁদি অবাক সুখের কান্না
যেন চুনি হিরা পান্না
সাগরের বুকে
আলপনা এঁকে দিয়ে যায়
অবাক ভালোবাসায়
অবাক ভালোবাসায়

সব আলো নিভে যাক আঁধারে
শুধু জেগে থাক ঐ দুরের তারারা
সব শব্দ থেমে যাক নিস্তব্ধতায়
শুধু জেগে থাক এই সাগর
আমার পাশে

সব কষ্ট বয়ে যাক সুখের ঝড়
হৃদয় ভরে যাক সহজ নীল স্বপনে
হৃদয় গভীরে অবাক দৃষ্টিতে
থমকে দাড়িয়েছে মহাকাল এখানে

শুভ্র বালুর সৈকতে
এলোমেলো বাতাসে গিটার হাতে
নিস্তব্ধতা চৌচির
উন্মাদ ঝংকারে কাঁদি অবাক সুখের কান্না
যেন চুনি হিরা পান্না
সাগরের বুকে
আলপনা এঁকে দিয়ে যায়
অবাক ভালোবাসায়
অবাক ভালোবাসায়

ব্যান্ড - ওয়ারফেইজ
এ্যালবাম - অবাক ভালোবাসা

অবাক ভালোবাসা

বৃষ্টি নেমেছে ----- ওয়ারফেইজ


বৃষ্টি নেমেছে রিমঝিমরিম সুরের লহরী
নিঝুম রাতে
বৃষ্টি নেমেছে কত স্মৃতি বুকে নিয়ে
উদাস করেছে এই রাত

বৃষ্টি নেমেছে মনে পড়ে যায় আমার গাঁ
বৃষ্টি নেমেছে ঐ মাটির ভালোবাসায়
বার বার শুধু ডাকে
ফিরে আয় আয় আয়

স্মৃতির দুয়ার খুলে আমি
পায়ে চলেছি মেঠো পথে
কাশবন আর ঐ নদীর বাঁকে
আমি সুর করি
ঐ মাছরাঙা পাখির রঙে
আমি গান ধরি
ঐ শিস দেয়া পাখির ডাকে

স্মৃতির দুয়ার খুলে আমি
শুয়ে আছি কোন বটতলে
নিঝুম আকাশে তারার হাসি
আমি সুর করি
ঐ নিঝুম রাতের কোলে
আমি গান ধরি
ঐ জেগে থাকা তারার ভাষায়

বৃষ্টি নেমেছে রিমঝিমরিম সুরের লহরী
নিঝুম রাতে
বৃষ্টি নেমেছে কত স্মৃতি বুকে নিয়ে
উদাস করেছে এই রাত

ব্যান্ড - ওয়ারফেইজ
এ্যালবাম - ওয়ারফেইজ

বৃষ্টি নেমেছে

আজ গানের তালে হৃদয় দোলে ----- অঞ্জন দত্ত

আজ গানের তালে হৃদয় দোলে
মিঠে বাতাস যায়রে বয়ে
হলুদ ধানের দোদুল দোলায়
পিয়াসী মন দোলে

ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলো না
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলো না।।

ঐ কোকিলাটার কুহু কুহু
কার লাগিগো বাজে
এই কালো মেয়ের এমন দিনে
মন লাগে না কাজে

ঐ দুরে কোথাও রাখাল বাঁশি
পাগল হাওয়ায় ভাসে

ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলো না
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলো না।।

নাক সেজেছে নাক ছাবিতে
কান সেজেছে দুলে
কালো কপালে কুমকুম আর
খোপার বাঁধন চুলে

পশ্চিম কোনে সূর্যি ডোবে
আন্ধারে মন কাঁদে

ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলো না
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলো না

আমার রাস্তা আমার বাড়ি ----- অঞ্জন দত্ত

আমার রাস্তা আমার বাড়ি
আমার ফাটা দেয়াল
আমার পোড়া মনের অজস্র জঞ্জাল

ভাঙছে কেবল ভাঙছে
শুধু যাচ্ছে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
আমার রাত্রি আমারই সকাল

একই ভাবে ঘামতে ঘামতে
মনের ভেতর নামতে নামতে
কোনমতে করছি দিনটা পার

চলছে চলবে
চলছে চলবে এই ভাঙাচোরা
গল্পটা আমার

নাকে আমার পোড়া পিঠের গন্ধ
বুকে কালো ধোঁয়া
হাতে-পায়ে শুধুই অবক্ষয়
তবু কাশতে কাশতে
এখনও যে হাসতে
পাড়ি ভালোবাসতে
নিজের কাছে
নিজেরই বিস্ময়

করবো যে আর কত ঘেন্না
নিজেই নিজের ছায়াটাকে
করবো যে আর কত অপমান
আবার তো সেই আষ্টেপিষ্টে
জড়িয়ে নিজের নরকটাকে
গাইবো আমি ভালোবাসার গান

এসো আমার ঘরে একবার
তুমি এসো আমার ঘরে একবার
পারো যদি দেখে যেও
বেঁচে থাকা কারে বলে
এসো আমার শহরে একবার

নিকষ কালো এই আধাঁরে ----- পেপার রাইম


অন্ধকার ঘরে কাগজের টুকরো ছিড়ে
কেটে যায় আমার সময়
তুমি গেছো চলে
যাওনি বিস্মৃতির অতলে
যেমন শুকনো ফুল
বইয়ের ভাঁজে রয়ে যায়

রেখেছিলাম তোমায় আমার
হৃদয় গভীরে
তবু চলে গেলে
এই সাজানো বাগান ছেড়ে
আমি রয়েছি তোমার অপেক্ষায়

নিকষ কালো এই আঁধারে
স্মৃতিরা সব খেলা করে
রয় শুধু নির্জনতা
নির্জনতায় আমি একা
একবার শুধু চোখ মেলো
দেখো আজও পথে জ্বালি আলো
তুমি আবার আসবে ফিরে
বিশ্বাস টুকু দু' হাতে আকড়ে ধরে

কিছু পুরনো গান
কিছু পুরনো ছবির এ্যলবাম
এ সবই আমার সাথী হয়ে রয়
কাক ডাকা ভোরে
যখন সূর্য ঢোকে ঘরে
কালো পর্দায়
বাঁধা পেয়ে সরে যায়

আমার এ জগত বড় আগলে রাখে আমায়
তবু মাঝে মাঝে মনে হয়
মৃত্যুই কি শ্রেয় নয়
আমি রয়েছি তোমার অপেক্ষায়

নিকষ কালো এই আঁধারে
স্মৃতিরা সব খেলা করে
রয় শুধু নির্জনতা
নির্জনতায় আমি একা
একবার শুধু চোখ মেলো
দেখো আজও পথে জ্বালি আলো
তুমি আবার আসবে ফিরে
বিশ্বাস টুকু দু' হাতে আকড়ে ধরে

আমার স্বত্তা ধুলোয় মিশে যেতে চায়
অস্তিত্তের প্রয়োজনে
চাই তোমাকে এইখানে
আমি রয়েছি তোমার অপেক্ষায়

নিকষ কালো এই আঁধারে
স্মৃতিরা সব খেলা করে
রয় শুধু নির্জনতা
নির্জনতায় আমি একা
একবার শুধু চোখ মেলো
দেখো আজও পথে জ্বালি আলো
তুমি আবার আসবে ফিরে
বিশ্বাস টুকু দু' হাতে আকড়ে ধরে

ব্যান্ড - পেপার রাইম

নিকষ কালো এই আঁধারে

Tuesday, 6 May 2008

আদরের নৌকো ----- চন্দ্রবিন্দু


ভেসে যায় আদরের নৌকো
তোমাদের ঘুম ভাঙে কলকাতায়
হ্যালোজেন বৃষ্টিতে
রং লিখে ঘর পাঠায়
ভিকিরিরা স্বপ্ন পায়
তুষারের রাজধানী ধুয়ে যায় জ্যোৎস্নায়

ধুয়ে যায় আদরের পথ-ঘাট
ভেসে যায় আরামের অঞ্চল
রেলিংয়ের ঘুম ঘোরে
টুপ করে কাঁদলো জল
ডানা ভাঙা একলা কাক
পথ ভেসে থাক একলাটি থাক

এ জন্মের রেলগাড়িরা যায়
জলপরী হোক ধুলো হাওয়ায়
হাওয়া কে এসে আঁকে তার ডানায়
এই নরম চুল ধুলোর ফুল
যায় ভেসে যায়

ভেসে যায় আদরের নৌকো
ভেসে যায় সোহাগের সাম্পান
সিগারেট টুকরোরা মুখচোরা শিখছে স্নান
নুড়ি ঘেরা বালির স্তুপ
জোনাকির রূপ বুকে নিয়ে চুপ

ব্যান্ড - চন্দ্রবিন্দু
এ্যালবাম - চ

আদরের নৌকো

চিঠি ----- মৌসুমী ভৌমিক


এখন সকাল এখানে সকাল মেঘলা সকাল
মাটি ভেজা ভেজা গন্ধ
তোমার আকাশে কত তারা ভাসে
তুমি দেখনাতো তোমার জানালা বন্ধ

তোমার চিঠি কালকে পেয়েছি
ক'হাজার মাইল পেড়িয়ে এসেছে
তোমার কথার ছন্দ
একা একা রাত কাটানো কবরে
কুয়াশা ছড়ানো ভোরের খবরে
পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্দ

আমার এখানে একই কাঁদাজল
বর্ষা কালে দু'পায়ে মাখানো
বাড়িতে বাইরে সেই অবিকল
একইরকম সময় কাটানো ।।

বাবার ছানিটা
বেড়াল ছানাটা মায়ের পোনাটা
সবই বেড়ে গেছে যাচ্ছে
রাত কেটে দিন
দিন কেটে দিন
জলভেজা দিন
নীলআকাশী দিন আসছে

বলতে ভুলেছি সেই যে গাছটা
আধমরা সেই ফুলের গাছটা
সেই গাছটাতে নতুন কুড়িতে
নতুন প্রানের ছন্দ
বাঁচার সেকি আনন্দ

আর কি জানাবো তোমাকে বলো
কথায় কথায় বৃষ্টি নামলো
হাওয়ায় ফুলের গন্ধ
তুমি ভালো থেকো
আমি ভালোই আছি
ভালোবাসা নিও

ভালোবাসা নিও
তুমি ভালো থেকো

চিঠি

আমার দক্ষিন খোলা জানলায় ----- মহীনের ঘোড়াগুলি


আমার দক্ষিন খোলা জানলায়

মাঘের এ অন্তরঙ্গ দুপুর বেলায়
না শোনা গল্প পুরোনো মনে পড়ে যায়
এক দমকা হাওয়ায় ।।।

আমার দক্ষিন খোলা জানলায়

খোলা জানলায়
খোলা জানলায়
উদার বন্ধু বাতাস
জাগায় আমার হৃদয়
ভালোবাসায়
খোলা জানলায়
উদার বন্ধু বাতাস
জড়ায় মায়ায়
ভালো লাগায়

আমার উত্তর খোলা জানলায়
বাড়ে বয়স
যা কিছু স্মৃতি স্বত্তা
কাঁপে দারুন
বাড়ে বয়স ।।

তাই দক্ষিন খোলা জানলায়
মাঘের এই অন্তরঙ্গ দুপুর বেলায়
না শোনা গল্প পুরোনো মনে পড়ে যায়
এক দমকা হাওয়ায়

মাঘের এই একান্ত দুপুর বেলায়
যা কিছু প্রিয় ভালোলাগা মনে পড়ে যায়
এক দমকা হাওয়ায়

দক্ষিন খোলা জানলায়

চিলেকোঠার সেপাই ----- আর্টসেল

যা দেখ যা দেখ না
ভাঙ্গে যত অনুভূতি চেনা-অচেনা
তোমার অনাগত সম্ভাবনায়
জমে ঘুন পোকার আর্তনাদ

তোমার নীল আকাশ
শূন্য চোখে চেয়ে থাকে
অন্ধকার দেয়ালে
তোমার আলো জন্ম দেয়
মিথ্যে ছায়াকে
সন্মোহিত সময়ে

তোমার জানালায় নীল আকাশ

আঁধারে নয় আলোতে ভয়
দৃশ্যগুলো শব্দময়
শূ্ন্যতার ভীড়ে হারিয়েছে
স্তব্ধ সময়
সপ্নময় ঘুমে নয়
শব্দগুলো দৃশ্যময়
শূন্যতায় নির্বাসিত রয়
স্তব্ধ সময়

ছায়াদের বাঁধা চোখে চোখে ফেরে
সময়ের নির্বাসিত নীল আকাশ
অন্ধকার ভেঙ্গে গড়ে আজ
শব্দ করে ইতিহাস

তোমার নীল আকাশ
শূন্য চোখে চেয়ে থাকে
অন্ধকার দেয়ালে
তোমার আলো জন্ম দেয়
মিথ্যে ছায়াকে
সন্মোহিত সময়ে

তোমার জানালায় নীল আকাশ

আঁধারে নয় আলোতে ভয়
দৃশ্যগুলো শব্দময়
শূ্ন্যতার ভীড়ে হারিয়েছে
স্তব্ধ সময়
সপ্নময় ঘুমে নয়
শব্দগুলো দৃশ্যময়
শূন্যতায় নির্বাসিত রয়
স্তব্ধ সময়

তোমার মৃত স্বপ্নের দৃশ্য আজও ওড়ে
বাতাসে বিগত সময় শব্দ করে
ভুলের চেনা শরীর চেনে কি তোমাকে
এখানে কে দাড়ায় ছায়ার মিছিলে

একই অতীত একই সময়
কেন তবু এই পথের শেষে
জড় অনুভূতি কেন মেঘে
ঢাকা পড়ে ছেড়া আকাশ

চিলেকোঠার সেপাই

পড়সিলাম বিদিশি হাইজ্যাকারের পাল্লায়

এগার অক্টবর চাঁনরাত । প্রচন্ড ঠান্ডা লাগসে , নাক = ওয়াসার ট্যাপ, আর মিনিটে ১৭টা কইরা হাঁচি। দেশের থিকা এ্যলাট্রল আনসিলাম ভাবছি ওটা দিয়াই ট্রিটমেন্ট চালামু। আমার কাহিল অবস্থা দেইখা আমার পোলিশ দুস্তরা কইলো

- দুস্ত আমগো এইখানে "টেরাফ্লু" নামের এক ভালো ওষধ আছে , রাইতে খাইবা পারদিন সকালে ১০০ মিটার রেসের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করবার পারবা।

কালকে ঈদ সো কোন চিন্তা না করেই রাজি হইলাম। হাতমোজা , কানটুপি, জ্যাকেট পইড়া রাস্তায় নামলাম একা। রাত সাড়ে নয়টা বাইরে ৩ ডিগ্রী টেম্পারেচার। কোন পোলিশ কুত্তাও নাই রাস্তায়। কাঁপতে কাঁপতে ৩০০ মিটার দুরে দোকানে হাজির হইলাম । এমুন কপাল আমার গিয়া দেখি দোকান বন্ধ। দোকানের বাইরে ২টা পোলা বইসা বিয়ার টানতাসে। অহন কি করুম চিন্তা করতাসি, এমুন সময় আইলো ম্যাসেজ। আমার এক দুস্ত ম্যাসেজ পাঠাইসে হের লাইগ্গা এক প্যাকেট মার্লবোরো কিনা নিয়া যাইতে। ওষধের দুকান বন্ধ মাগার বিড়ির দুকান ঠিকই খোলা পাইলাম।

বিড়ি কিন্না বাইর হইয়া একটু দূরে আসতেই এক পোলা বয়স ২৪/২৫ টুপিওয়লা জ্যাকেট পড়া হাতে বিয়ারের বোতল, ডাক দিয়া জিগাইলো - কয়টা বাজে ?
চিনলাম ব্যাটারে ওষধের দোকানের সামনে বইসা ছিল একটু আগে।
টাইম কইয়া হাটা দিলাম , দেখি ব্যাটাও আমার লগে হাটা দিসে। আমার সাথে মুবাইল, আইপড, আর অল্প কিছু টাকা ।
টের পাইলাম কেইস খারাপ। দুম করে ইউটার্ন মারলাম। ব্যাটা কয়

- কই যাও ?

- বিড়ি কিনুম

আবার ঢুকলাম দোকানে, ব্যাটা বাইরে দাড়ায় আছে। কি মুসিবতে পড়লাম। দিলাম পোলিশ দুস্তরে ফুন

- দোস্ত আমি বিপদের গন্ধ পাইতাসি , তুমি শীঘ্র আস। আমি ন্যাট্টোর কাছে এক বিড়ির দুকানে আছি।

- তাই নাকি ! চিন্তা কইরো না আমি আইতাসি।

- জলদি কর।

দোকানে আমি আর দোকানি এক বুড়ি । বুড়ি আমারে জিগায়

- আর কিসু নিবা ?

- চিন্তা করতাসি , একটু পরে কমুনে, ঠিকাছে?

এমুন সময় ঐ ব্যাটা দুকানে ঢুকলো। আরেক বোতল বিয়ার নিল। আমার কাছে আইসা কয়

- লও বাইরে গিয়া বাতচিত করি

- বাইরে ঠান্ডা , আমার শইল ভালা না এই দেখ আমার নাক দিয়া পানি পড়ে।

- আরে মিয়া লও ... বিয়ার খামু, বিড়ি টানুম বাতচিত করুম।

- তোমারে ধইন্যা পাতার ভর্তা । আমি বিয়ারও খাইনা বিড়িও টানিনা।

- আইচ্ছা তুমারে কিসু খাইতে হইবো না । মাগার গ্যাজাইতে তো সমস্যা নাইক্কা ।

- আসলে কাহিনি হইলো আমার কিসু দুস্ত আইবো এইখানে । হেগো লাইগ্গা ওয়েট করতাসি।

এইবার মনে হইলো ব্যাটা একটু চিন্তায় পড়সে । আবার দুকানের বাইরে গিয়া দাড়াইলো ।

দোকানি বুড়ি আমার দিকে তাকায় হতাশ ভাবে কইলো -

- এডি বদমাইশ পুলাপাইন।

আমিও মাথা নাইড়া জানাইলাম - হ আমি জানি ।

সত্য কথা হইলো আমি এট্টু ডরাইসিলাম। এই ব্যাটার লগে কুস্তিতে পাড়নের কুন সম্ভাবনা নাই আমার। এদিকে আমার দুস্তের কোন খবর নাই । আবার দিলাম ফুন ।

- আরে ব্যাটা তুই কই !

- এই তো আইয়া পড়সি।

এমুন সময় ঘটল আজব ঘটনা, ঐ ব্যাটা উল্কার বেগে দোকানে ঢুইকা আমার মুবাইলে দিল থাবা। মুবাইল হাত থিকা ছিটকা গেল কাউন্টারের ঐপাশে । আমি তো ঘটনায় পুরা টাসকি !!!
ব্যাটা রে এক ধাক্কা দিয়া আমিও দিলাম লাফ কাউন্টারের পিছে।

দোকানি বুড়ি তখন চিল্লাইয়া ঐ ব্যাটারে কইলো

- আমি পুলিশ মামুগোরে ফুন দিতাসি তুই এক্ষুনি আমার দুকান থিকা বাইর হ ।

ব্যটা আর দেরি না কইরা আমার দিকে কড়া চোখের রাঙানি দিয়া দিল দৌড়।

বুড়ি আমারে কইলো

- বাছা চিন্তা কইরো না আমি মামুগো রে ফুন দিতাসি । ২ মিনিটের ভিতরে মামুরা আইসা পড়ব।

আমি নার্ভাস ভাবে কইলাম

- জিংকুইয়া বার্জো (আপনেরে ধইন্যা পাতার ভর্তা)

এমুন সময় আমার দুই পোলিশ দুস্ত জিবি আর সিবাস্চেন ময়দানে হাজির হইলো । হেরা ঘটনা শুইন্না কয় -

- হালার পুতে কই !!! আমগো দেশের রেপুটেশন তো ধুলায় মিশাইয়া দিল !! হালারে আইজকা খাইসি !!

আমি আবারও নার্ভাস হাসি দিয়া কইলাম

-হে তো ফুটসে।

আমার দুস্তরা দুঃখিত হইয়া আমারে কইলো

- দুস্ত .. কিসু মনে কইরো না । তুমি তো জানো ভালো-খারাপ সব খানেই আছে। মনে কষ্ট নিও না ।

- আরে নাহ ব্যাপার না । খারাপ পুলাপাইন সব খানেই আছে।

এরপর মামুরা আইলো , আমার মুখ থিকা সব শুনলো। আমারে জিগাইলো কালপ্রিট টারে দিখলে চিনতে পারুম কিনা ?

কইলাম - আবার জিগায় !

মামুরাও দুঃখ প্রকাশ করলো । এবং আমারে কইলো লও তুমারে নামায় দিয়া আসি। আমি কইলাম তুমাগোরে নামায় দিতে হইবো না আমি আমার দুস্তগো লগে যামু সমস্যা নাইক্কা। হেরা কিসুতেই মানবো না , এইডা বলে হেগো ডিউটি।

অগত্যা উঠলাম মামুগো গাড়িতে। এমুন গাড়িতে জন্মেও উঠি নাই । শক্ত ফাইবারের সিট, দরজায় কোন নব নাই। , সামনে পিসে পুরা সিল করা । কারো সাধ্য নাই এইডার ভিতরে কোন তাফালিং করার।

মামুরা আমার রুম পর্যন্ত পৌছায় দিল।

আর আমার ঠান্ডা !

এই ঘটনার পরে ঠান্ডা আরও বাইরা অবস্থা হালুয়া টাইট । ঈদের দিন বাসার সাথে চিঁ চিঁ কন্ঠে কথা কইতে হইসে ।


(বাসায় কইলাম এই ঘটনা জানাই নাই)

আছেন আমার মুক্তার ----- আব্দুল হাদী

আছেন আমার মুক্তার
আছেন আমার ব্যারিস্টার।।

শেষ বিচারের হাইকোর্টেতে
তিনিই আমায় করবেন পার
আমি পাপী তিনি জামিনদার।।

মনের ঘরে তালা দিয়া
চাবি লইয়া আছেন সাঁই
আমি অধম সাধ্য কি তার
হুকুম ছাড়া বাইরে যাই ।।

দুই কান্দে দুই মুহূরি
লিখতে আছেন ডাইরি।।
দলিল দেইখা রায় দিবেন
টাকা পয়সার নাই কারবার
সময় থাকতে মনা হুশিয়ার
আমি পাপী তিনি জামিনদার

সেদিনের সেই ইস্টিশনে
থাকবে নানান প্যাসেন্জার
দ্রুতযানে পাড় হবে সে
টিকিট কাটা আছে যার।।

পারাপারের থাকলে তাড়া
সঙ্গে নিও গাড়ি ভাড়া।।
জবাবদিহি করতে হবে
ধরলে টিকিট কালেক্টার
সময় থাকতে মনা হুশিয়ার
আমি পাপি তিনি জামিনদার

আছেন আমার মুক্তার

পথ চলা ----- আর্টসেল


আমার পথ চলা আমার পথে
যেন বেলা শেষে আকাশ কার মোহে
আমার স্বপ্ন আমার সাথে
যেন স্বপ্নে ফিরে আসে স্বপ্ন হয়ে
খুঁজে পায় জীবনের তীর
জীবনকে কোন স্বপ্ন ভেবে

আমি কার আশাতে
ছুটে চলি পথে পথে
যেন কার মায়াতে
বাধা পড়েছে জীবন যে
কত সুখ কল্পনা
কত মিথ্যে প্রলভন
কষ্টের প্রতিটিক্ষন
শোনায় তার আহবান

আমার আলোয় আলোকিত
হতে চেয়ে আধাঁরে মিলিয়ে
আমার স্বপ্ন আমার সাথে
যেন স্বপ্নে ফিরে আসে স্বপ্ন হয়ে
খুঁজে পায় জীবনের তীর
জীবনকে কোন স্বপ্ন ভেবে

আমি কার আশাতে
ছুটে চলি পথে পথে
যেন কার মায়াতে
বাধা পড়েছে জীবন যে
কত সুখ কল্পনা
কত মিথ্যে প্রলভন
কষ্টের প্রতিটিক্ষন
শোনায় তার আহবান

আমি আজ নেই তবু
কত সুর ওঠে বেজে
তোমার ঐ গানের মাঝে
এই পথ গেছে মিশে
আমার বেলা শেষে
স্বপ্ন ফিরে আসে
পৃথিবীর দূর দেশে
জীবনকে কোন এক স্বপ্ন
ভেবে

পথ চলা

ব্যান্ড - আর্টসেল
এ্যালবাম - অন্যসময়

উৎসবের উৎসাহে ----- আর্টসেল

আমার অবারিত দরজা জুড়ে
সম্ভাবনার রঙিন মলাট
আমার শরীর ডুবে আছে
অবিরাম মৃত উষ্ণতায়

তুমি যে রোদ মাখবে বলে
মেতে উঠেছো রঙের উৎসবে
আমার বিষাদ ছায়া হয়ে
ঢেকে দেয় তোমায়

জানবে আমি শুধু আমি নই
আমি মানে অন্য কেউ কিংবা প্রতিবিম্ব
তোমাতে মিলিয়ে আমার
সব সুর তোমারই সঙ্গপনে

তোমারই অন্ধকারে
যে শব্দ বয়ে চলে
এসো কান পেতে রই নিরবে
মনেরই ইন্দ্রজাল জুড়ে
যে স্বপ্ন খেলা করে
নেব সেই সীমানায় তোমাকে

যত দুর চলে গেলে দুরত্ব ঘোচালে
নিভে যাওয়া মানুষ জ্বলবে আলো হয়ে
সেইখানে তোমাকে জানাবো গোপনে
স্বপ্ন মানে পাশে থাকা
সময়ের হাত ধরে নতুন স্মৃতি এলে
আমি থাকব পথ চেয়ে ছদ্মবেশে

আবার এসে দাড়ালে একা
দেখবে আমার চোখে সম্ভাবনা
জীবন জুড়ে থাকে পরাজয়
হয়েছে ম্লান চিরকাল
জানবে তুমি ভোর হওয়া চোখে
যে অবিরাম স্বপ্ন দেখেছ
আমে সেই বাস্তবতা
কিংবা মলিন সান্তনা

আমাদের অভিধানে মিথ্যের হয় অনুবাদ
অবসাদ আশ্রয় খুঁজে
মানুষের অন্ধকার ঘরে
প্রতিবাদ প্রতিরোধ ভুলে
আনমনে মেনে নেয় পরাজয়

তখন ভাঙ্গতে হবে ঘোর
হাতে রেখে হাত
হেরে যাওয়াকে বন্দি করে রেখে
জাগতে হবে রাত
আলো জ্বেলে রেখে
উৎসবের উৎসাহে

বিস্তীর্ন উজানে একলা হয়ে গেলে
চিনিয়ে নেব পথ
চিনবো একে একে
পিছু ফিরে পাই
ফিরতে যদি হয়
পাড়ি দেব পথ নিমিষে

উৎসবের উৎসাহে

ব্যান্ড - আর্টসেল
এ্যলবাম - আন্ডারগ্রাউন্ড

অদেখা স্বর্গ ----- আর্টসেল


এই ঘরে ফেরা নিজেকে ফিরে দেখা
আয়নাতে কার মায়া
আঁধারের আলো ছায়া
আমার সাথে চলে
তোমাকে নিয়ে একা

অজানা যে আকাশে ওড়ে
অদেখা কোন স্বর্গ আমার
না পাওয়া তবু পথ দেখায়
আশাতে হতাশা ভোলায়

যতবার জন্মেছি তোমারই আশাতে
ততবার আবার এই ফিরে চলা
দুর থেকে দেখা
আমার এ ভালোবাসা

অজানা যে আকাশে ওড়ে
অদেখা কোন স্বর্গ আমার
না পাওয়া তবু পথ দেখায়
আশাতে হতাশা ভোলায়

আমার ঘৃনা তোমাকে পোড়াবে না
দেখাবে স্বপ্ন
আমার দুঃখ তোমার আকাশে
মেঘ হয়ে কাঁদাবে না

আমার ফেলে আসা দুঃস্বপ্নের রাত
যত কষ্টের স্মৃতি
তোমার জন্য বাঁচতে শেখাবে
মৃত্যু হয়ে ছোঁবে না

কত মিথ্যে অভিনয়ে গড়া এ জীবন
অচেনা ছোঁয়ায়

অজানা যে আকাশে ওড়ে
অদেখা কোন স্বর্গ আমার
না পাওয়া তবু পথ দেখায়
আশাতে হতাশা ভোলায়

অদেখা স্বর্গ

ব্যান্ড - আর্টসেল
এ্যালবাম - ছাড়পত্র (মিক্সড)

অপ্সরী ----- আর্টসেল

আমি কার ভুলে ছিলাম ভুলে
এক রক্ত মাংসের অপ্সরী
খুঁজে ফিরে অপূর্নতায় পূর্নতা
জীবনের সাথে লুকোচুরি

মনে পড়ে তুমি ছিলে পাশে
এখনও যেভাবে আছো জড়িয়ে
তবু নিড়বে তোমায় স্মৃতিচারন
সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে

তুমি এলে উৎসবে সাজবে নতুন আকাশ
বাতাসে ভাসবে অজানা অবাক উল্লাস
তোমার ভেতর জন্ম নেবো আমি
মুছে ফেলে দুজনার আলাদা নিঃশ্বাস

তুমি আমার জন্য এনেছিলে স্বর্গ
শোনাতে নতুন কোন মূর্ছনা
তুমি অবাক বিশ্বাসে গিয়েছিলে বলে
পৃথিবীর ওপারে আরেক পৃথিবী

আমার নিঃশ্বাসে ছিল মিথ্যে আগুন
চেতনায় কত মিথ্যে অসীমতা
অতৃপ্তি নিয়ে সাজাতে সুখের জীবন
জন্মান্তরের ভুলেছিলাম স্বাধীনতা

তুমি এলে উৎসবে সাজবে নতুন আকাশ
বাতাসে ভাসবে অজানা অবাক উল্লাস
তোমার ভেতর জন্ম নেবো আমি
মুছে ফেলে দুজনার আলাদা নিঃশ্বাস ।।

অবশ অনুভূতির দেয়াল ----- আর্টসেল


তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়
তবু তোমার টুকরো ছায়ায়
ডুবে আছে কত মিথ্যে আগুন অন্ধকারময়
কত স্মৃতি কত সময়
তোমার জন্য পৃথিবীতে আজকে ছুটির রোদ
নিজের মাঝে তোমায় খোঁজা
আকাশ নীলে তাকিয়ে থাকা

তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়
মেঘাচ্ছন্ন ব্যস্ত ঢাকায়
মানুষগুলো শূন্য চোখে দুঃখ দ্বিধায়
আকাশ পানে তাকায়
তোমার জন্য পৃথিবীতে থেমে যায় সময়
আমার দেহে রাত্রি নামায়
মিথ্যে আগুন অন্ধকারময়

ভীড়ের মাঝে আবার ভীড়ে
আমার শরীর মিশে কোলাহলে
দুঃখ ভুলে মিশে যাই মুখোশ স্রোতে
অনেক দুরের একলা পথে
ক্লান্ত আমি ফিরি তোমার কাছে
মুখোশ খুলে বসে রই জানলা ধরে

আমার গানের শব্দ সুরের অন্তরালে
তোমায় আঁকি কান্না চেপে
মহাকালের ক্লান্ত পথে

তোমার জন্য বৃষ্টি ঝরে আমার লেখায়
আলোর মতন মিথ্যে ছায়ায়
পাথর হয়ে ঘুরে মরে আমার হৃদয়
কত স্মৃতি কত মিথ্যে ভয়

তোমার জন্য গলার ভেতর
আটকে থাকে ক্রোধ
আমার চোখে স্মৃতির ঘোলা জল
নির্জনতায় তোমার কোলাহল

তোমার না থাকা অস্তিত্ব
রয়ে গেছে আমার নিঃশ্বাসে
ফেলে আসা এই পথে দুজনেই একসাথে

আমার অবশ
অনুভূতির দেয়াল জুড়ে কত সময়
হেটে এসে আমরা দু'জন
হারিয়েছি পথ কোথায় কখন

আমার দেহে খুঁজে ফিরি
তোমার অনুভূতি
তোমার চোখের দুরের আকাশ
মিশে থাকে রূপক হয়ে

তোমার জন্য
বিষন্ন এক নিথর হৃদয় আমার ভেতর
দাঁড়ায় সরব একা
তোমার পৃথিবী স্বর্গের মতন
চির অদেখা

তোমার জন্য পথ হারিয়ে অজানায়
তবু তোমার লেখায় কথায়
ফেরে ক্লান্ত আমার অলস সময়
কত স্মৃতি অন্ধকারময়

বিমূর্ত এই রাত্রি আমার ----- ভূপেন হাজারিকা


বিমূর্ত এই রাত্রি আমার
মৌনতার সুতোয় বোনা
একটি রঙিন চাদর
সেই চাদরের ভাজে ভাজে
নিশ্বাসেরই ছোঁয়া
আছে ভালোবাসা আদর

কামনার গোলাপ রাঙা
সুন্দরি এই রাত্রিতে
নিরব মনের ভরসা
আনে শ্রাবন ভাদর
সেই বরষার ঝরো ঝরো
নিশ্বাসেরই ছোঁয়া
আর ভালোবাসা আদর

বিমূর্ত এই রাত্রি আমার
মৌনতার সুতোয় বোনা
একটি রঙিন চাদর

দুরের আর্তনাদের নদীর
ক্রন্দন কোন ঘাটের
ভ্রুক্ষেপ নেই পেয়েছি আমি
আলিঙ্গনের সাগর
সেই সাগরের স্রোতে আছে
নিশ্বাসেরই ছোঁয়া
আর ভালোবাসা আদর

বিমূর্ত এই রাত্রি আমার
মৌনতার সুতোয় বোনা
একটি রঙিন চাদর

কতোকি করার আছে বাকি ----- মহীনের ঘোড়াগুলি

কতোকি করার আছে বাকি
বেলা বয়ে যায়
কি করে এভাবে আমি থাকি
ভেবে ভেবে সারাদিন কাটে
বলো কি উপায়
তোমারও কি এরকম ঘটে
কতোকি করার আছে বাকি

ঠিক কি যে চাই খুঁজে বেড়াই
কুল কিনারা ভেবে না পাই
কি করি বলো না
হা-হুতাশ গেল না

সব ছেড়ে ছুড়ে বহুদুরে সরে যাই তবে
আর কি বা হবে

কিছুতো হলো না এ জীবনে
বৃথা কালক্ষয়
তোমারও কি এমন হয় মনে
নিঃসঙ্গতা ঘিরে আসে
কঠিন এ সময়
তোমারও কি কেউ নেই পাশে

ঠিক কি যে চাই খুঁজে বেড়াই
কুল কিনারা ভেবে না পাই
কি করি বলো না
হা-হুতাশ গেল না

সব ছেড়ে ছুড়ে বহুদুরে সরে যাই তবে
আর কি বা হবে!

কতোকি করার আছে বাকি

তোমায় দিলাম আজ ----- মহীনের ঘোড়াগুলি

শহরের উষ্ণতম দিনে পিচগলা রোদ্দুরে
বৃষ্টির নিশ্বাস তোমায় দিলাম আজ
আর কিইবা দিতে পারি
পুরোনো মিছিলের পুরোনো ট্রামেদের সারি
ফুটপাত ঘেসা বেলুন গাড়ি
সুতো বাঁধা যত লাল আর সাদা
উড়াই আমার থতমত এই শহরে
রডোডেন্ড্রন
তোমায় দিলাম আজ

কি আছে আর
গভীর রাতের নিয়ন আলোয়
আলোকিত যত রেস্তোঁরায়
সব থেকে উঁচু ফ্ল্যাট বাড়িটার
সব থেকে উঁচু ছাদ
তোমায় দিলাম আজ

পারবো না দিতে
ঘাসফুল আর ধানের গন্ধ
স্নিগ্ধ যা কিছু দুহাত ভরে আজ
ফুসফুস খোঁজে পোড়া ডিজেলের
আজন্ম আশ্বাস
তোমায় দিলাম আজ

শহরের কবিতা আর ছবি
সবই তোমায় দিলাম আজ

তোমায় দিলাম তোমায় দিলাম তোমায় দিলাম

দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা

দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা
বন্ধু চিরকাল
রেললাইন বহে সমান্তরাল
বহে সমান্তরাল

পিরিতের ঘর বানাইয়া
অন্তরের ভিতর
দুই দিগন্তে রইলাম দুইজন
সারা জীবন ভর

হইলো না তো সুখের মিলন
হইলো না শুকসারির দর্শন
এমনই কপাল
রেললাইন বহে সমান্তরাল
বহে সমান্তরাল

নয়নের জল শুকাইয়া
বিচ্ছেদের অনল
এই অন্তরে অন্তর জ্বালা
বাড়াইলো কেবল

হইলো না তো মিলন সাধন
চিনলো না মনের বান্ধন
এমনই আড়াল

দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা
বন্ধু চিরকাল
রেললাইন বহে সমান্তরাল
বহে সমান্তরাল

পৃথিবীটা নাকি ----- মহীনের ঘোড়াগুলি

পৃথিবীটা নাকি ছোটো হতে হতে
স্যাটালাইট আর কেবলের হাতে
ড্রইংরুমে রাখা বোকা-বাক্সতে বন্দি
আহা-হা-হা আহা আহা-হা-হা
আহা আহা-হা-হা...........

ঘরে বসে সারা দুনিয়ার সাথে
যোগাযোগ আজ হাতের মুঠোতে
ঘুঁচে গেছে দেশ-কাল-সীমানার গন্ডি
আহা-হা-হা আহা আহা-হা-হা
আহা আহা-হা-হা...........

ভেবে দেখেছো কি
তারা রাও যতো আলোকবর্ষ দূরে
তারো দূরে
তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে ।।

সারি সারি মুখ আসে আর যায়
নেশাতুর চোখ টিভি পর্দায়
পোকা-মাকড়ের আগুনের সাথে সন্ধি
আহা-হা-হা আহা আহা-হা-হা
আহা আহা-হা-হা...........

পাশাপাশি বসে একসাথে দেখা
একসাথে নয় আসলে যে একা
তোমার আমার ফারাকের নয়া ফন্দি
আহা-হা-হা আহা আহা-হা-হা
আহা আহা-হা-হা...........

ভেবে দেখেছো কি
তারা রাও যতো আলোকবর্ষ দূরে
তারো দূরে
তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে ।।

স্বপ্ন বেচার চোরাকারবার
জায়গাতো নেই তোমার আমার
চোখ ধাঁধানোর এই খেলা শুধু ভঙ্গি
আহা-হা-হা আহা আহা-হা-হা
আহা আহা-হা-হা...........

তার চেয়ে এসো খোলা জানালায়
পথ ভুল করে কোন রাস্তায়
হয়তো পেলেও পেতে পারি আরও সঙ্গি
আহা-হা-হা আহা আহা-হা-হা
আহা আহা-হা-হা...........

ভেবে দেখেছো কি
তারা রাও যতো আলোকবর্ষ দূরে
তারো দূরে
তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে ।।

নীল রং ----- রূপম

সেদিও ছিলো দুপুর এমন
ঝকঝকে রোদ অস্থির মন
আর ঘড়ির কাটায় তখন
প্রশ্রয়

সেদিনের মতো কলেজের ক্লাস
শেষ হয়ে গেছে অবকাশ
পাওয়া গেছে ফের দেখার আকাশ
নীলচে সময়

নীল রং ছিলো ভীষন প্রিয়
তাই সবকিছু নীলিয়ে দিও
মনে পড়ে কি সেদিন
বলেছিলাম তোমায়

আজ নীল রংয়ে মিশে গেছে লাল
আজ রং চিনে নেবার আকাল
নীল বাতাসেও বেনীল ভেজাল
ভেসে বেড়ায়

যেতে দাও সেদিনের মতো
পেতে দাও সেদিনের ক্ষত
নীল শরীরে তোমায় ছোঁবো
নীল সাগরে ভাসিয়ে দেবো

শুনি আজও সেই দুরের তলব
বন্ধ ঘরের সেই পথের ঝলক
পথের সীমায় পাথর ফলক
দেয় ডাক

ঝকঝকে রোদের কংক্রিটে ভীড়
করে আসে ছায়া দেয় বাধে নীড়
অস্থির মন অজান্তে স্থির
বলে আজ থাক

নীল রং ছিলো ভীষন প্রিয়
তাই সবকিছু নীলিয়ে দিও
মনে পড়ে কি সেদিন
বলেছিলাম তোমায়

আজ নীল রংয়ে মিশে গেছে লাল
আজ রং চিনে নেবার আকাল
নীল বাতাসেও বেনীল ভেজাল
ভেসে বেড়ায়

যেতে দাও সেদিনের মতো
পেতে দাও সেদিনের ক্ষত
নীল শরীরে তোমায় ছোঁবো
নীল সাগরে ভাসিয়ে দেবো

সেদিও ছিলো দুপুর এমন
ঝকঝকে রোদ অস্থির মন
আর ঘড়ির কাটায় তখন
প্রশ্রয়

তোমার চোখের কালো চাই ----- রূপম

আমি তোমার চোখের কালো চাই
তাই তোমার দিকে তাকাই
তুমি তাকাওনি আমার দিকে
তাই ধূসর বিকেল
কালো রাস্তাও রং হারায়
ধূসর ধোঁয়ায়

কিছু শরীর কথা বলে যায়
কোন গভীর রাতের ইশারায়
আমি একলা জেগে শয্যায়
শর-শয্যায়
মন ঘুমায় তোমার কোলে হায়

আমি তোমার হাতের ছোঁয়া চাই
আর আমার নির্লজ্জতাই
খোঁজে শুধু তোমার আবরন
এনে দাও শিহরন
ঘুরি তোমাতে মৃত্যু নেশায়

আমি তোমার ভালোবাসা চাই
তাই তোমায় ভালোবেসে যাই
বলো আমার এমন চাহিদায়
কি মন দেয়া যায়
জীবন দেয়া যায়
হৃদয় দেয়া যায়
শরীর দেয়া যায়

আমি তোমায়, তোমার দেহকে
বিশ্বাস আর সন্দেহকে
খুঁজি হঠাত্ত হঠকারিতায়
চিনি না তোমায়
অনামিকা বলে ডাকতে পারি কি তোমায় !

পথে পথে দিলাম ছড়াইয়ারে ----- কলিম শরাফি

পথে পথে দিলাম ছড়াইয়ারে
সেই দুঃখে চোখেরও পানি
ও আমার চক্ষু নাই

পাড় নাই কিনার নাই রে
ও আমার চক্ষু নাই

ঘর নাই ও মোর জন নাই
তবু দিলাম ভাঙ্গা নায়ে
অথৈ সায়র পাড়ি

পথে পথে দিলাম ছড়াইয়ারে
সেই দুঃখে চোখেরও পানি
ও আমার বৈঠা নাই

ও আমার সুখ নাই
নিদ নাই চোখে নিদ নাই

বিধিরে তোমার খেয়ালের শেষ নাই
দয়া নাই তোমার মায়া নাই
তবু জনম দুঃখি আমি
তোমায় আপন জানি

পথে পথে দিলাম ছড়াইয়ারে
সেই দুঃখে চোখেরও পানি
ও আমার চক্ষু নাই

জাতিস্মর ----- সুমন

অমরত্মের প্রত্যাশা নেই নেই কোন দাবি দাওয়া
এই নস্সর জীবনের মানে শুধু তোমাকে চাওয়া
মুহূর্ত যায় জন্মের মতো অন্ধ জাতিস্মর
গত জন্মের ভুলে যাওয়া স্মৃতি বিস্মৃত অক্ষর
ছেড়া তাল পাতা পুঁথির পাতায় নিঃস্বাস ফেলে হাওয়া
এই নস্সর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া

কাল-কেউটের ফনায় নাচছে লখিন্দরের স্মৃতি
বেহুলা কখনো বিধবা হয় না এটা বাংলার রীতি
ভেসে যায় ভেলা এবেলা ওবেলা একই সব দেহ নিয়ে
আগেও মরেছি আবার মরবো প্রেমের দিব্যি দিয়ে

জন্মেছি আমি আগেও অনেক মরেছি তোমারই কোলে
মুক্তি পাইনি শুধু তোমাকে আবার দেখবো বলে
বার বার ফিরে এসেছি আমরা এই পৃথিবীর টানে
কখনো গাঙড় কখনো কোপাই কপোতাক্ষর গানে
গাঙড় হয়েছে কখনো কাবেড়ি কখনো বা মিসিসিপি
কখনো রাইন কখনো কঙ্গো নদীদের স্বরলিপি
স্বরলিপি আমি আগেও লিখিনি এখনও লিখিনা তাই
মুখে মুখে ফেরা মানুষের গানে শুধু তোমাকেই চাই

তোমাকে চেয়েছি ছিলাম যখন অনেক জন্ম আগে
তথাগততার নিঃস্বংগতা দিলেম অস্তরাগে
তারই করুনায় ভিখারিনি তুমি হয়েছিলে একা একা
আমিও কাঙাল হলাম আরেক কাঙালের পেতে দেখা
নতজানু হয়ে ছিলাম তখন এখনো যেমন আছি
মাধুকরী হও নয়নমোহিনী স্বপ্নের কাছাকাছি

ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড কর প্রেমের পদ্যটাই
বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি শুধু তোমাকেই চাই

আমার স্বপ্নে বিভোর হয়েই জন্মেছ বহুবার
আমি ছিলাম তোমার কামনা বিদ্রোহ চি]কার
দুঃখ পেয়েছ যতবার জেনো আমায় পেয়েছ তুমি
আমি তোমার পুরুষ আমি তোমার জন্মভূমি
যতবার তুমি জননী হয়েছ ততবার আমি পিতা
কতো সন্তান জ্বালালো প্রেয়সি তোমার আমার চিতা

বার বার আসি আমরা দুজন বার বার ফিরে যাই
আবার আসবো আবার বলবো শুধু তোমাকে চাই